ডায়াবেটিক পা’ (Diabetic Foot) একটি ডায়াবেটিস মেলাইটাস জনিত পায়ের বৃহত্তর রক্তনালীর জটিলতা। ১৫% ডায়াবেটিক রোগীর ক্ষেত্রে এই জটিলতা দেখা দিতে পারে। পৃথিবীতে যত রোগীর পা কাটা লাগে তার মধ্যে ৮৪% হল ডায়াবেটিক পা। ডায়াবেটিস রোগীর পায়ে আঘাত লাগলে বা ক্ষত হলে সেখানে ক্ষুদ্র রক্তনালীর বিকাশ, এক্সট্রাসেলুলার ম্যাট্রিক্স ও চামড়া ইত্যাদির বৃদ্ধি খুব ধীর গতিতে হয়। ফলে ক্ষত নিরাময় প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্থ হয় এবং ক্ষত শুকাতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। এতে জীবানু সংক্রমনের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। কোনও কোনও ক্ষেত্রে ক্ষতস্থানে দুর্গন্ধযুক্ত পচন (গ্যাংগ্রীন) ধরে যায়। রোগীর জীবন রক্ষার্থে অনেক সময় পা কেটে বাদ দিতে হয়।
সাধারণ নিয়মে, হৃদপিন্ড থেকে যে অঙ্গের দূরত্ব যত বেশী, সে অঙ্গের ক্ষত শুকনোর গতি তত কম। এছাড়াও, শরীরের যে সব স্থানে চামড়ার ঠিক নীচেই হাড় থাকে, সেখানে চামড়ার ক্ষত শুকানোর গতিও কম। তাই, হাটুর নীচ থেকে পায়ের পাতা ও আঙ্গুলের কোন ক্ষত ধীর গতিতে শুকায়। আর ডায়াবেটিস রোগীর ক্ষেত্রে তা শুকানোর গতি আরও ধীর।
প্রতিরোধঃ
প্রথমতঃ ডায়াবেটিস সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রনে রাখতে হবে। নিয়মিত পায়ের যত্ন নিতে হবে, সব সময় পা পরিস্কার ও শুকনা রাখতে হবে, ডায়াবেটিক মোজা এবং জুতা ব্যবহার করতে হবে। পায়ে যাতে কোনও আঘাত না লাগে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ঘরে বাইরে কোথাও খালি পায়ে হাঁটা যাবে না।
(সংক্ষেপিত)
ডাঃ এম. মঞ্জুর আহমেদ (সজীব)
এমবিবিএস (সিইউ); পিজিটি (সার্জারী);
সিসিডি (বারডেম); ইডিসি (বারডেম)
